Thursday 9 May 2013

ইচ্ছামৃত্যু


সিসিফাসকে মনে পড়ে কারও?
যারা গড়েছিল যত স্বপ্ন আর বাস্তবের পাঁচমিশেলি ইমারত,
নিজেদের বিস্মৃতির জালে আটকা পড়ে...
যেদিন ভেঙ্গেছিল স্তম্ভ একে একে,
কেউ শোনেনি সেই পতনের পূর্বাভাস,
ফাঁপা দেওয়ালে অন্তঃসারশূন্য সপ্তকের প্রতিধ্বনি
মুখ ভেঙচে কটাক্ষ করেছিল শেষ সুরেলা সুখস্মৃতিকে। 
যেদিন গরলের ঢেউয়ে ভেসে গেল আশার খড়কুটো,
কেউ দেখেনি চোরা কোটরে বাস্তুসাপের খোলস।
চোখ কচলে দিয়ে অবিশ্বাস্যের পাশমুক্ত করে,
স্বেচ্ছা-অন্ধত্বের দর্পচূর্ণ করে, চেতনা সেদিন নামিয়ে আনে পথে,
মারে হ্যাঁচকা একটা টান, চিনিয়ে দেয় ভবিতব্যকে।
তবুও কারা যেন গড়ে নতুন ইমারত,
আবারও বিশ্বাসের প্রতি স্থাপন করে বিশ্বাস,
বিশ্বাসের উপরে গড়ে বিশ্বাসের ভিত,
সব ভেঙ্গে যাবে জেনেও।
হয়তো ভেঙ্গে গড়ার লোভে হারিয়ে গেছে ধ্বংসের শোক,
কিম্বা শুধু অভ্যস্ত ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়ার অভ্যাস।
হায় সিসিফাস, যদি পাথরটা গড়িয়ে না পড়ত,
একবার, বারবার...
হয়তো এই অভিসম্পাত নেমে আসত না কোনওদিন,
হয়তো একবারের জন্য অন্তত গড়ে উঠত কোনও মজবুত ইমারত...
সেই অট্টালিকায় কোনও এক সংরক্ষিত কাচের বয়ামে
ফর্মালিনে চোবানো থাকত মনুষ্যত্বের সব অক্ষমতা, অকর্মণ্যতা।
‘মনুষ্যত্ব’? সিসিফাস না পাথর?